উত্তরদিনাজপুর

আদিবাসী নাবালিকাকে ধর্ষনের ঘটনায় অভিযুক্ত আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করল রায়গঞ্জ থানার পুলিশ

আদিবাসী নাবালিকা ধর্ষনের ঘটনায় অভিযুক্ত আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করলো উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। গত ৯ তারিখে তিন জন এরপরে ১৬ তারিখে একজন ও আজ একজন এনিয়ে মোট ৭ জন দুষ্কৃতিকে গ্রেপ্তার করল রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। ধৃতদের আজ রায়গঞ্জ জেলা আদালতে তোলা হয়।

            উল্লেখ্য গত গত ৯জুলাই বিজেপির ডাকা উত্তর দিনাজপুর জেলা বনধের দিন দিনে দুপুরে রায়গঞ্জ পুর বাসস্ট্যান্ডের বিশ্রামাগারে কিছু দুষ্কৃতি এক শিক্ষিকা সহ চার আদিবাসী মহিলাকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে নারকীয় অত্যাচার করে। এরমধ্যে দুজন নাবালিকাও ছিল যাদের ধর্ষন করে এই দুষ্কৃতিরা। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ বাস স্ট্যান্ড চত্বর থেকে সেদিন রাতেই নদীন শীল, উৎপল চাকি ও শুভম কে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু আদিবাসী মহিলাদের ধর্ষন ও অত্যাচারের প্রতিবাদের আদিবাসীদের পাঁচটি সংগঠন এক বিক্ষোভ মিছিল করে। সেই মিছিল থেকেই ক্ষুব্ধ আদিবাসিরা পুর বাসস্ট্যান্ডে আগুন ধরিয়ে দিয়ে তার সাথে রায়গঞ্জে শহর এলাকায় তির ধনূক হাতে নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও সেদিন রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি ও দোকান পাট ভাংচুর চালায়। এক প্রকার গোটা শহরে তান্ডব চালায়। অশান্ত হয়ে ওঠে রায়গঞ্জ শহর সাধারন মানুষ থেকে ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত হয়ে উঠে। আদিবাসিদের তান্ডবের জেরে ক্ষোভে ফেটে পড়ে ব্যবসায়ী সংগঠন। টানা দুই দিন রায়গঞ্জ বনধের ডাক  দেয়। নিজ নিজ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে আন্দোলনে নামে ব্যবসায়ীরা। রাস্তা অবরোধ সহ রাস্তায় আগুন জালিয়ে নিজেদের ক্ষোভ উবরে দেয়। বিক্ষোভের মূখে পড়তে হয় জেলা পুলিশ সুপারকে। গত ১৬ জুলাই পান্না সরকার নামে এক দুষ্কৃতিকে গ্রেপ্তার করার পর আজ ওই ঘটনায় জড়িত আরও তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। 
            জেলা পুলিশ সুপার অমিত কুমার ভরত রাঠোর জানান, গত ৯ তারিখে যে ঘটনা ঘটেছিল রায়গঞ্জ পুর বাসস্ট্যান্ডে। সেদিন রাতেই তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল একজনকে ও আজ তিন জনকে মোটে এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার পূর্নাঙ্গ তদন্ত চলছে তদন্ত সাপেক্ষের জন্য ধৃত তিনজনের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না। অপরাধীরা কেউই ছাড় পাবেনা। এবং শহরে শান্তি রক্ষার জন্য পুলিশি পিকেট বসানো হয়েছে যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।